মেঝেকে ধুলামুক্ত রাখার নিরলস চেষ্টা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে ঋতুর মতন ধুলার ধরনও পাল্টে যায়, কিন্তু শীতকালে ধুলা পরিমাণে বেড়ে যায় অনেক বেশি, এজন্য দরকার পড়ে বাড়তি যত্ন ও খেয়ালের। একটু জানালা-দরজা খুললেই ধুলার টর্নেডোর সাক্ষাৎ হয়। আবার এমনও হয়, জানালা-দরজা বেশ করে আটকে রাখার পরও কোনো এক ফাঁক দিয়ে ধুলাবালি এসে পুরো মেঝে দখল করে বানিয়ে ফেলে ধুলার রাজ্য।
বাসার মেঝে রাখুন ধুলামুক্ত করে, সহজ উপায়ে, বেশি সময় ধরে।
আমাদের বাসা-বাড়ির মেঝেকে ধুলামুক্ত রাখার কোন বিকল্প নেই। কেননা অনেক রোগ-বালাইয়ের কারণ এই ধুলাবালি।
আপডেট করা হয়েছে

যে ধরনের মেঝে যেভাবে মুছতে হবেঃ
বিভিন্ন ধরনের মেঝেতে ধুলাবালি জমার পরিমাণও কমবেশি হয়ে থাকে, মেঝে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে, যত জলদি সম্ভব মেঝে ধুলামুক্ত রাখতে হবে।
ঝাড়ু দেয়া ও মোছা:
শলার ঝাড়ু দিয়ে প্রথমে পুরো বাসার মেঝে ঝেড়ে নিতে হবে, তারপর পানি দিয়ে সুন্দর করে টিপে টিপে মুছতে হবে। এই কাজ দুইটি প্রতিদিন করতে হবে। মেঝে শুধু পানি দিয়ে মুছে ফেললেই চলবে না, শুধুমাত্র ঝাড়ু দেবার পরেই বাসার মেঝে মুছতে হবে।
কারপেট ক্লিনিং:
মেঝেতে কার্পেট বিছানো থাকলে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করুন। মাসে অন্তত একবার কার্পেট সরিয়ে সাবান ও গরম পানি দিয়ে মেঝে পরিষ্কার করতে হবে। বৃষ্টির দিনে কার্পেট তুলে ফেলা না হলে শেওলা জমে যেতে পারে কার্পেটের ভাঁজে ভাঁজে। বাইরের পরিধেয় জুতা-স্যান্ডেল বাসার ভিতরে না আনাই উত্তম, এতে করে বাইরে ধুলা বাসায় আসবে না।
টাইলস:
এখন বাসাবাড়ির মেঝে বেশিরভাগ টাইলসেরই হয়ে থাকে। সাবান ও গরম পানি মিশিয়ে তা দিয়ে টাইলস মুছতে হবে। এতে টাইলসের চকচকে ভাবট ঠিক থাকবে, আবার ধুলামুক্তও থাকবে।
মাথায় রাখতে হবে, নিয়মিত মেঝে পরিষ্কার এবং কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই বাসার মেঝে থাকবে ধুলামুক্ত খুব সহজেই।
মূলভাবে প্রকাশিত