প্রতিদিন নিয়ম করে পাঁচবার নামাজ পড়া হয়। আর নামাজের আগে অবশ্যই ওযু করে পাকপবিত্র হতে হয়। শুধুই কী ওযু করে নিজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হলেই হবে? নাহ, প্রার্থনার জায়গা ও জায়নামাজটিও থাকতে হবে পরিচ্ছন্ন সবসময়। আর ঈদের নামাজতো আছেই। তাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ঈদের আগে সহজে কীভাবে জায়নাজ পরিষ্কার করবেন।
তবে ধোয়ার আগে ছোট্ট একটি স্পট টেস্ট করে নিন। অর্থাৎ জায়নামাজের এক কোণে অল্প করে ডিটারজেন্ট পানি দিয়ে ভিজিয়ে ধুয়ে দেখুন যে তা থেকে রং উঠে কিনা। জায়নামাজ অনেক দামি হলে, আর স্পট টেস্ট না করেই যদি ভিজিয়ে দিয়ে দেখেন যে তা থেকে রং উঠছে তখনতো মনটাই খারাপ হয়ে যাবে। তাই সে জায়নামাজটি ড্রাই-ওয়াশের জন্য রেখে দিন। আর রং না উঠলে তবে পরের ধাপে আগাই চলুন!
জায়নামাজ ধোয়ার নিয়ম
জায়নামাজ পরিষ্কার করতে কী কী লাগবে তা তো জেনেই নিলেন। এবার চলুন দেখে নিই কীভাবে ধাপে ধাপে জায়নামাজ পরিষ্কার করতে হয়।
স্টেপ ১
প্রথমেই জায়নামাজ ধোয়ার জন্য একটি বালতি নিতে হবে। এতে পানি নিয়ে ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে ফেনা তুলে নিন।
স্টেপ ২
তারপর জায়নামাজ ডিটারজেন্ট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ৩০ মিনিটের মতো।
স্টেপ ৩
এবার কাপড় পরিষ্কারের ব্রাশ দিয়ে পুরো জায়নামাজ আলতো করে ব্রাশ করে নিন।
স্টেপ ৪
সবশেষে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন ও বারান্দায় রোদে ভালোভাবে শুকাতে দিন!
ব্যস! হয়ে গেলো সহজেই জায়নামাজ পরিষ্কার! তবে যাবার আগে জায়নামাজ যত্ন নেয়ার রেগুলার কিছু টিপস শেয়ার করে যাই। কিছু সহজ স্টেপস নিলেই আপনার জায়নামাজ তাড়াতাড়ি ময়লা হবে না। যেমন-
১) নামাজ শেষে জায়নামাজ রোল করে অপেক্ষাকৃত কম ধুলা পড়ে এমন জায়গায় অর্থাৎ পরিষ্কার জায়গায় রাখুন।
২) প্রতি সপ্তাহে একটি ম্যাট ব্রাশ বা ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে জায়নামাজ পরিষ্কার করে নিন। এতে
কম ধুলাবালি পড়লেও তা সহজে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৩) যারা জায়নামাজ রোদে শুকাতে দেন, চেষ্টা করবেন তা যেন সরাসরি রোদের আলো থেকে দূরে থাকে। তা না হলে প্রখর রোদের তাপে জায়নামাজের রং ফিকে হয়ে যেতে পারে।
৪) জায়নামাজ পরিষ্কারের পর যদি তা কুঁচকে যায়, তবে আগের মতো মসৃণ করতে ভাঁজ করে ভারী কোনো বই বা বালিশের নিচে রেখে দিতে পারেন। দেখবেন কুঁচকানো ভাব চলে গিয়েছে
ক্লিনিং সম্পর্কিত আরও টিপস পেতে ক্লিক করুন-
ধোয়ার আগে কটন-সিল্ক, রঙিন বা সাদা, ভিন্ন রকম কাপড় কেন করবেন
আলাদা? | Cleanipedia