পিচ্ছিল মেঝে আর না।

পিচ্ছিল মেঝে যেকোনো বড়ো দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। বিশেষত শিশু বা বয়স্কদের জন্য পিচ্ছিল মেঝে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে যে কেউই এর দ্বারা বড়ো ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

আপডেট করা হয়েছে ২৪ এপ্রিল, ২০২৩

·

লেখকCleanipedia টিম দ্বারা নিবন্ধ

পড়ার সময়২ মিনিট"

মানুষ মেঝেতে পিছলে পড়ে

মেঝে পিচ্ছিল হবার কারণ

বিভিন্ন কারণেই ঘরের মেঝে পিচ্ছিল হতে পারে। যেমন-

পানি কিংবা তরল কিছু পড়ে মেঝে অনেকক্ষণ ভিজে থাকলে পিচ্ছিল হয়ে যায়।

তেল বা লোশন পড়ে মেঝে চিটচিটে হয়ে পিচ্ছিল হয়ে যায়।

ধুলোবালি জমলে, ট্যালকম পাউডার, আটা কিংবা অন্যকোনো পাউডার পড়লেও মেঝে পিচ্ছিল হয়ে যায়।

মেঝে পরিষ্কার করার জন্য অতিমাত্রায় ক্লিনার ব্যবহার করলেও মেঝে পিচ্ছিল হয়।

সাবান পানি পড়লে কিংবা সাবান পানি দিয়ে মেঝে পরিষ্কার করার পর ভালো করে মুছে না নিলে মেঝে পিচ্ছিল হয়ে থাকে।

আপনার জন্য প্রয়োজনীয়:

  • মেঝে পিচ্ছিলতা মুক্ত রাখা এবং অ্যান্টি-স্লিপ করার উপায়সমূহ

    1. 1

      পানি মুছে ফেলতে হবে জলদি

      পিচ্ছিলতা এড়াবার জন্য খেয়াল রাখতে হবে পানি বা অন্য কোনো তরল পড়ে মেঝে ভিজে আছে কিনা। যদি কোনো কারণে মেঝে ভিজেও যায় তবে দ্রুত সেটা ভালোভাবে শুকনো কাপড় বা মপ দিয়ে মুছে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। এক কথায় মেঝেকে শুকনো এবং পরিষ্কার রাখতে হবে সবসময়।

      মেঝেতে জল ছড়িয়ে পড়ে
    2. 2

      চিটচিটে তেলের ভাব সরিয়ে ফেলা

      ঘরের যেসব জায়গায় তেল পড়ে মেঝে চিটচিটে হবার সম্ভাবনা থাকে সেগুলো পরিষ্কার করার জন্য তেল নিরোধক রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করতে হবে। যেমন, রান্নাঘরের মেঝে! রান্নাঘরের মেঝে পরিষ্কার করার জন্য ভিনেগার, লেবু এই ধরনের উপাদানে তৈরি ক্লিনারগুলো বেশি উপযোগী।

    3. 3

      মেঝে বুঝে ক্লিনার ব্যবহার করুন

      মেঝের ধরন বুঝে সঠিক ক্লিনার ও পলিশ দিয়ে পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। কারণ কনক্রিটের মেঝের জন্য তৈরি ক্লিনার কাঠের মেঝেতে দিলে কাজের বদলে ক্ষতি হবার সম্ভাবনাই বেশি। ধরন বুঝে নিয়মিত (প্রতিদিন কিংবা সপ্তাহে অন্তত একদিন) মেঝে পরিষ্কার করতে হবে। টাইলসের মেঝে প্রায় প্রতিদিনই পরিষ্কার করতে হয় নয়তো ধুলো জমে পিচ্ছিল হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। একই ব্যাপার ঘটে মার্বেলের মেঝের ক্ষেত্রেও।

      ঘরের জায়গা বুঝে মেঝেকে সঠিক রূপ দিতে হবে। ব্যবহার আর অবস্থান বুঝে একই বাসার মেঝেতে ভিন্নতা আনা যেতে পারে। যেমন, টয়লেটের মেঝেতে পানি পড়ে পিচ্ছিল হবার সম্ভাবনা বেশি। এজন্য বিশেষ কোনো ট্রিটমেন্ট দিয়ে এটাকে অ্যান্টি-স্লিপ করিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এরপর রান্নাঘরের মেঝেতে তেল-ঝোল পড়ার সম্ভাবনা বেশি তাই সেখানে অতিরিক্ত পলিশড্‌ টাইলসের বদলে ম্যাট টাইলস দেওয়া যেতে পারে। একইভাবে লিভিং রুমের মেঝেতে কার্পেট করিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

    4. 4

      ক্লিনিং ও পলিশিং

      ক্লিনিং ও পলিশিং শেষে সবসময় শুকনো মপ দিয়ে মেঝে মুছে নেওয়া উচিত। ক্লিনিংয়ের পর দীর্ঘ সময় মেঝে ভেজা থাকলে ধুলোবালি পড়ে সহজেই ময়লা হতে পারে। তাছাড়া ভেজা মেঝে বেশি পিচ্ছিল থাকে বিধায় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।

    5. 5

      অন্যান্য উপায়

      এছাড়াও কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে টাইলস, মার্বেল, কাঠ কিংবা কংক্রিটের মেঝে থেকে পিচ্ছিলতা দূর করা যায়। প্রথমেই, মেঝে থেকে ধুলাবালি ও ময়লা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। এরপর, মেঝেতে আটকে থাকা ময়লা তুলতে সাবান এবং গরম পানি মিশ্রণ দিয়ে মেঝে ভালো করে ঘষে নিয়ে মুছে শুকাতে হবে। এখন, ফ্লোরের ধরন অনুযায়ী যেকোনো ভালো স্লিপ রেসিস্ট্যান্ট সল্যুশন নির্দেশমতো পানিতে মিশিয়ে মেঝেতে দিতে হবে। এরপর মুছে ভালো করে শুকাতে হবে। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ভিনেগার মিশ্রিত পানি দিয়ে মেঝে মুছতে হবে। আর এভাবেই মেঝের পিচ্ছিলতা দূর হবে এবং তা নিরাপদ থাকবে।

মেঝে পিচ্ছিল থাকলে অসাবধানতাবশত ঘটে যেতে পারে মর্মান্তিক যেকোনো দুর্ঘটনা। ঘরের শিশু থেকে বৃদ্ধ যে কারো জন্যই অ্যান্টি-স্লিপ মেঝের বিকল্প নেই। তাই নিজের সময় ও সামর্থ্য বুঝে নিজেকেই ঠিক করে নিতে হবে কীভাবে ঘরের মেঝেকে পিচ্ছিলতা মুক্ত রাখা যায় এবং দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলা যায়।

প্রবন্ধটি সহায়ক ছিলো কি?