বেকিং সোডা করে ব্যবহার, থাকুন ভাইরাসমুক্ত আর পরিষ্কার!

বেকিং সোডা মূলত একটি লবণ! যার রাসয়নিক সংকেত NaHCO3। আর প্রাকৃতিক খনিজ রূপ হচ্ছে নাকোলাইট। যেটা আবার খনিজ ন্যাট্রনের উপাদান।

আপডেট করা হয়েছে ২৪ এপ্রিল, ২০২৩

·

লেখকCleanipedia টিম দ্বারা নিবন্ধ

পড়ার সময়২ মিনিট"

বেকিং সোডা

বেকিং সোডা নামটি শুনলেই বেকিং সামগ্রী হিসেবে সবার আগে এর ব্যবহারের কথাই মনে পড়বে! তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে বাইকার্বোনেট সোডাকে একটি দূরদূরান্তের উপকরণ বলেই মনে হবে। অথচ জীবানুমুক্তকরণ এবং পরিচ্ছন্নতার কাজে এটিই হতে পারে একটি মহা উপাদান।

  • ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতায়:

    1. 1

      চুলের জন্য:

      বাজারের কন্ডিশনার, স্প্রে ও হেয়ার ক্রিমের উপর নির্ভর না করে চুলের জন্য রেগুলার শ্যাম্পুতে অ্যাড করুন পরিমাণ মতো বেকিং সোডা। এছাড়াও ১ চা চামচ বেকিং সোডা ও কুসুম গরম পানি মিশিয়ে চিরুনি বা হেয়ার ব্রাশকে কিছুক্ষণ তাতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন।

    2. 2

      হাতের যত্নে:

      হাত থেকে যেকোনো অবাঞ্ছিত দুর্গন্ধ, বিশেষ করে মাছ, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ইত্যাদির দুর্গন্ধ দূর করতে ৩:১ অনুপাতে বেকিং সোডা ও পানি মিশিয়ে ভালো করে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া কনুইয়ের খসখসে ভাব দূর করতেও বেকিং সোডা ও পানি দিয়ে এক্সফোলিয়েট করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

    3. 3

      পায়ের যত্নে:

      পায়ের চুলকানিজনিত সমস্যার জন্য ১ লিটার গরম পানিতে ৪ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নিন। আর শক্ত গোড়ালি মোলায়েম করতে ৩:১ অনুপাতে বেকিং সোডা ও পানি মিশিয়ে ম্যাসাজ করুন। এছাড়া ক্লান্ত দিনের শেষে একটি পাত্রে হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে ৩ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পায়ের পাতা ডুবিয়ে রাখুন। এতে ক্লান্তি দূর হবে।

    4. 4

      দাঁতের যত্নে:

      দাঁতের হলুদ ভাব দূর করার জন্য কিংবা মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে টুথব্রাশে কিছুটা বেকিং সোডা নিয়ে তা দিয়ে দাঁত মেজে নিতে পারেন। এছাড়া সতেজ নিঃশ্বাসের জন্য আধা গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ বাইকার্বোনেট সোডা মিশিয়ে মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

    5. 5

      অন্যান্য:

      এছাড়াও, সানবার্ন, পোকামাকড়ের কামড় ও এ জাতীয় ক্ষততে বেকিং সোডা পানিতে মিশিয়ে সরাসরি প্রয়োগ করলে তাৎক্ষণিক উপশম পাওয়া যায়।

  • ঘর-বাড়ির পরিচ্ছন্নতায়:

    1. 1

      স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র:

      নিয়মিত ব্যবহারে প্লাস্টিক ফুড কনটেইনারের রং জ্বলে গেছে বা দাগ পড়ে গেছে মনে হলে পরিষ্কার স্পঞ্জে একটুখানি বেকিং সোডা ছিটিয়ে ধুয়ে নিন। সিলভার ও স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রের ক্ষেত্রে ৩:১ অনুপাতে বেকিং সোডা ও পানি মিশিয়ে ভালো করে মেজে ধুয়ে নিন।

    2. 2

      রান্নাঘর:

      বেকিং সোডা ও গরম পানির মিশ্রণে স্পঞ্জ ভিজিয়ে তা দিয়ে কিচেন টেবিল থেকে শুরু করে, সিংক, চুলার ধার, ফ্রিজ, ওভেন ইত্যাদি মুছলে হবে ঝকঝকে ও চকচকে।

    3. 3

      ময়লা ফেলার বিন:

      নিয়মিত পরিষ্কারের পাশাপাশি ময়লা ফেলার বিনের তলায় সবসময় কিছুটা বেকিং সোডা ছিটিয়ে রাখলে আর দুর্গন্ধ হয় না।

    4. 4

      টয়লেট:

      ৫০ গ্রাম বেকিং সোডার সাথে ১ টেবিল চামচ লিকুইড ডিটারজেন্ট ও একটুখানি ভিনেগার মিশিয়ে তৈরি করে ফেলুন বাথরুম স্ক্রাব। এটা দিয়েই পরিষ্কার করুন টয়লেট সিট, বোল, ফ্লোর সবকিছু!

    5. 5

      ওয়্যারড্রোব:

      বেকিং সোডার বক্সে আপনার পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েলের কয়েক ফোঁটা দিয়ে রেখে দিন ওয়্যারড্রোবের মধ্যে। এতে কাপড়ে দুর্গন্ধ হবে না, আবার পোকামাকড়ের হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে।

    6. 6

      ঘরের দুর্গন্ধ:

      ঘরের ভেতর বাজে কোন গন্ধ দূর করতে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডার সাথে পাঁচ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল ও সামান্য ডিস্টিল ওয়াটার মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে প্রাকৃতিক এয়ার ফ্রেশনার হিসাবে ব্যবহার করা যায়।

বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হওয়ার সুবাদে বেকিং সোডা বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন: বাইকার্বনেট সোডা, ব্রেড সোডা, কুকিং সোডা ইত্যাদি। কিন্তু যে নামেই ডাকা হোক, নিজের ও ঘরের পরিছন্নতার কাজে ব্যবহারের জন্য এখন থেকে মাসের বাজারে বেকিং সোডা আনতে ভুলে যাবেন না কিন্তু!

প্রবন্ধটি সহায়ক ছিলো কি?